শুক্রবার, ২৩ মে ২০২৫ ।। ৮ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ ।। ২৫ জিলকদ ১৪৪৬

শিরোনাম :
প্রকৃতি প্রতিশোধ নিতে কখনো ভুল করে না : শিবির সভাপতি প্রধান উপদেষ্টাকে সর্বদলীয় বৈঠক ডাকার আহ্বান জামায়াত আমিরের এনসিপির সাথে চামড়াশিল্প রক্ষা কমিটির মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে দেখা করলেন এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম ভোলা-বরিশাল সেতুর দাবিতে  ওলামা-ত্বলাবার মানববন্ধন বিভিন্ন সংস্কার কমিটির মাধ্যমে কিছু কুসংস্কার প্রস্তাবনা এসেছে: খেলাফত আন্দোলন আল্লামা সুলতান যওক নদভী (রহ.)-এর কবর জিয়ারতে শায়েখে চরমোনাই অসুস্থ জমিয়ত সহ-সভাপতিকে দেখতে হাসপাতালে গেলেন দলের শীর্ষ নেতৃবৃন্দ চবিতে কওমী স্টুডেন্টস নেটওয়ার্কের যাত্রা, সভাপতি আতহার নূর কাকে জুলাইয়ের গাদ্দার বললেন সাদিক কায়েম?

চুইংগামের নামে খাচ্ছি প্লাস্টিকের কণা

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

মুহাম্মদ মিজানুর রহমান

চুইংগাম পছন্দ করে না এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া ভার। বিশেষ করে শিশু এবং তরুণদের কাছে চুইংগাম দারুণ এক পছন্দের খাবার। কিন্তু আমরা কি জানি মজা করে খেলেও চুইংগামের নামে কী খাচ্ছি আমরা? অবিশ্বাস্য হলেও সত্যি এক চুইংগামেই তিন হাজার মাইক্রো প্লাস্টিক ঢুকছে আমাদের পেটে। এই তথ্যই উঠে এসেছে গবেষণায়। ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীদের পরিচালিত গবেষণায় তুলে ধরা হয়েছে কীভাবে এই ক্ষুদ্র প্লাস্টিকের টুকরাগুলো প্রবেশ করে মানবদেহে।

চুইংগাম সাধারণত দুই ধরনের হয়। প্রাকৃতিক ও সিনথেটিক। দোকানে যেসব চুইংগাম বিক্রি হয় এর বেশির ভাগই সিনথেটিক। যা তৈরি হয় পেট্রোলিয়াম ভিত্তিক পলিমার দিয়ে। শুধু সিনথেটিক চুইংগাম নয় প্রাকৃতিক চুইংগামেও মাইক্রো প্লাস্টিকের উপস্থিতি দেখে গবেষকরা রীতিমতো চমকে উঠেছেন। দেখা গেছে একটি চুইংগাম চিবানোর প্রথম আট মিনিটের মধ্যেই বেরিয়ে যায় বেশিরভাগ মাইক্রো প্লাস্টিক। গবেষণায় উঠে এসেছে চুইংগাম প্রিয় একজন ব্যক্তি ১ বছরে ১৮০টি চুইংগাম চিবিয়ে গ্রহণ করতে পারে ৩০,००० মাইক্রোপ্লাস্টিক কণা। আমেরিকার কেমিক্যাল সোসাইটির আরেকটি গবেষণায় দেখা গেছে, চুইংগামে মূলত পলিইথিলিন ও পলিস্টাইরিনের মতো প্লাস্টিকের কনিকা থাকে! এই পলিইথিলিন পলিথিন ব্যাগ, পানির বোতল, ওয়ানটাইম কাপ ইত্যাদি তৈরিতে ব্যবহৃত হয়।

সবচে ভয়ংকর তথ্য হচ্ছে, প্লাস্টিকের এই কণাগুলো আমাদের শরীর হজম করতে পারে না। নিয়মিত চুইংগাম খাওয়ার ফলে কণাগুলো জমে আমাদের দেহে এবং তা দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব ফেলে। এবং সেটাও খুব সুখকর কোনো বিষয় নয়। মাইক্রোপ্লাস্টিক দিনের পর দিন শরীরে ঢুকে রক্তে মিশতে থাকলে সেটা সৃষ্টি করতে পারে বিভিন্ন জটিল রোগ। ডায়াবেটিসের কারণও হতে পারে এই প্লাস্টিকের কণা। কারণ, এই কণা ইনসুলিনের ক্ষরণে প্রভাব ফেলে। এছাড়া প্লাস্টিকের কণা বদলে দিতে পারে শরীরের হরমোনের ভারসাম্যও। কমিয়ে দিতে পারে পুরুষের শুক্রানুর পরিমাণ। হতে পারে স্নায়ুবিক রোগের কারণও।

তাই ভালোবেসে সন্তানের হাতে কী তুলে দিচ্ছেন একবারতো ভেবে দেখুন!]

এনএইচ/


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ