সোমবার, ২০ মে ২০২৪ ।। ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ ।। ১২ জিলকদ ১৪৪৫


লক্ষ্মীপুরে রাস্তা সম্প্রসারণ প্রকল্প; ক্ষতিগ্রস্ত শতাধিক ব্যবসায়ী

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার
ছবি : আওয়ার ইসলাম

হাবিব মুহাম্মাদ

লক্ষ্মীপুর সদর প্রতিনিধি

আয়তনে কম ও শিল্প কলকারখানায় পিছিয়ে থাকলেও লক্ষ্মীপুর শহর এখন ধাপে ধাপে উন্নতির দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। তারই ধারাবাহিকতায় মূল শহরের রাস্তা সম্প্রসারণের উদ্যোগ নিয়েছে পৌরসভা কর্তৃপক্ষ। হসপিটাল, দোকান-পাট, যানবাহন এবং মানুষ চলাচল বৃদ্ধি হওয়ায় শহরের রাস্তাগুলো সম্প্রসারণ করা জরুরি হয়ে পড়েছে। ইতিপূর্বে সম্প্রসারণ করা হলেও প্রয়োজনের তুলনায় তার পরিমাণ ছিল কম। এবার তা দ্বিগুণভাবে বৃদ্ধি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

রাস্তা সম্প্রসারণে প্রাচীন স্থাপত্য তিতাখাঁ জামে মসজিদ, চক মার্কেট ও চক মসজিদ এবং মুক্তিযুদ্ধা কমপ্লেক্স ও পৌর মার্কেটসহ অল্প কিছু দোকান ছাড়া রাস্তার পাশের প্রায় সব দোকানই ভাঙ্গা হচ্ছে। তাতে রয়েছে বহুতল বিশিষ্ট ভবনও। এতে সাময়িকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন ব্যবসায়ীগণ।

দোকান ভাঙা ও পুনরায় তা মেরামতে বাহত হচ্ছে ব্যবসা-বাণিজ্যে। দোকান পরিবর্তন, মাল সামানা স্থানান্তর এবং নতুন করে ডেকোরেশনের কারণে অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হতে হচ্ছে তাদেরকে। অনেক ব্যবসায়ীকে বহুদিনের পুরনো ও পরিচিত পজিশন ছেড়ে নতুন জায়গায় স্থানান্তরিত হতে হচ্ছে। তিতাখাঁ জামে মসজিদের অপজিটে সকল ফুল ব্যাবসায়ীকে অন্যত্রে স্থানান্তরিত হতে হয়েছে।

বিয়ে বাড়ি ফুল দোকানের মালিক বলেন, আমার প্রায় ২ লক্ষ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে এবং নতুন লোকেশনে বেচাকেনা একদম ডাউন।

তিনি আরো বলেন, সকল ব্যবসায়ীদের একই অবস্থা। আমার  সাথের কোনো কোনো ব্যবসায়ী ব্যবসা ছেড়ে দিতে বাধ্য হয়েছেন। কেউ বিদেশে যাচ্ছেন, কেউ অন্য চিন্তা করছেন।

ভূমি অফিস সংলগ্ন আল্লাহর দান সুতা ঘরের ব্যবসায়ী বলেন, আজ ৪ মাস যাবৎ কোনো বেচাকেনা নেই। বরং প্রায় ২ লক্ষ টাকার ক্ষতি হয়েছে আমার। দোকানও অনেক ছোট হয়ে গিয়েছে। মাত্র দেড় হাত জায়গা। সামনে কী হবে তা বলতে পারছি না।

তবে স্থায়ীভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন সাধারণ দোকান ও বহুতল বিশিষ্ট ভবনের মালিকগণ।  প্রায় দোকানের অধিকাংশ অংশই ভাঙ্গা হচ্ছে। আবার অনেক দোকানের পুরোটাই রাস্তার অংশে ঢুকে পড়েছে। ফলে এই সকল মালিকপক্ষকে স্থায়ীভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হতে হচ্ছে। কেননা অনেক পরিবারের  উপার্জনের বড় উৎস ছিল এই দোকান-পাট।

এক দোকানের মালিকের সাথে কথা বললে তিনি বলেন, আমার ১২ ফুটের দোকান এখন মাত্র ২ ফুট। ভাড়াও ৩ গুণ কমে গেছে।

সরকার কোনো ক্ষতিপূরণ দিবে কি না জানতে চাইলে মালিকগণ বলেন, সরকার ৬০ সালের মৌজার রেটে ক্ষতিপূরণ দিবে বলে আশ্বাস দিয়েছে। তবে বর্তমান রেট অনেক বেশি। তাও কতটুকু পাবেন  তা নিয়ে কোনো কোনো দোকান মালিক আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন। 

তবে আনন্দের বিষয় হলো রাষ্ট্র ও জনগণের স্বার্থে ব্যবসায়ী ও মালিকপক্ষ নিজেদের এই ক্ষয়ক্ষতি মাথা পেতে নিয়েছেন। তাই সিটি কর্পোরেশন নয় নিজেরাই স্ব-উদ্যোগে দোকানপাট ভেঙ্গে নিজেরাই তা মেরামত করে নিচ্ছেন। 

আরএম/


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ