শনিবার, ০৩ মে ২০২৫ ।। ২০ বৈশাখ ১৪৩২ ।। ৫ জিলকদ ১৪৪৬

শিরোনাম :
‘রাষ্ট্র সংস্কার নিয়ে বিএনপির সালাহউদ্দিনের ভাবনা জাতিকে শঙ্কিত করেছে’  আল্লামা সুলতান যওক নদভীর  ইন্তেকালে খেলাফত মজলিসের শোক প্রকাশ নদভী আমৃত্যু ইসলাম ও মুসলিম উম্মাহর কল্যাণে কাজ করেছেন: ধর্ম উপদেষ্টা নারী-পুরুষের জীবনব্যবস্থায় স্রষ্টার নির্ধারিত নীতিমালা অপরিহার্য লাখো মুমিনের গর্জনে কেঁপে উঠল সোহরাওয়ার্দীর বাতাস আল্লামা সুলতান যওক নদভীর জানাজায় জনতার ঢল সুলতান যওক নদভীর মৃত্যুতে হেফাজত আমিরের শোক তাঁর অনুপস্থিতি সহজে পূরণ হবার নয়: ইউকে জমিয়ত সাম্রাজ্যবাদের ফান্ডখোরদের পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে দেব না: হেফাজত আমির আস-সুন্নাহর প্রশিক্ষণে আপ্লুত হজযাত্রীরা

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে শহীদ পরিবারের পাশে এনসিপি নেতা মাওলানা আশরাফ মাহদি

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

২৮ মার্চ (শুক্রবার) ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার কুট্টাপাড়া, বেড়তলা, নোয়াগাঁও ও অরুয়াইল ইউনিয়নে ফ্যাসিস্ট বিরোধী আন্দোলনে শহীদ পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে উপহার তুলে দেন জাতীয় নাগরিক পার্টির যুগ্ম আহ্বায়ক, সাবেক এমপি আল্লামা মুফতী ফজলুল হক আমিনী রহ.-এর দৌহিত্র মাওলানা আশরাফ মাহদি। এ সময় তিনি শহীদ পরিবারের সদস্যদের খোঁজ খবর নেন এবং ভবিষ্যতে তাদের পাশে থাকার আশ্বাস দেন।

২০২১ সালে আগ্রাসন বিরোধী আন্দোলন ও ২০২৪ সালে জুলাই গণঅভ্যুত্থানে নির্মম গুলিতে শহীদগণ হলেন— আল আমিন (১৭), লিটন (৩৮), হাদিস (২৮) ও জসিম (৬০)। 

সাক্ষাৎ পর্বে শহিদ আল আমিনের বাবা শফি আলী বলেন, আল আমিন কওমি মাদরাসায় হিফজ বিভাগের ছাত্র ছিল । ধর্মীয় মূল্যবোধ আর ঈমানি চেতনায় সে আন্দোলনে যোগ দেয়। ২০২১ সালের ২৮ মার্চ শহিদ হয় সে। 

শহীদ লিটনের (৩৮) ভাই মোঃ মামুন বলেন, “আমার বড় ভাই ছিল অটোরিকশা চালক। ২০২১ সালে বাংলাদেশে নরেদ্র মোদির আগমন সাধারণ মানুষের মতো তাকেও পীড়া দেয়। সে রাজপথে নেমে আসে। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পীরবাড়িতে পুলিশের গুলিতে গুরুতর আহত হয়। এরপর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষনিঃশ্বাস ত্যাগ করে।”

শহীদ জসিমের (৬০) স্ত্রী শাহানা বেগম বলেন, “আমার স্বামী ঢাকায় ঝালমুড়ি বিক্রি করে সংসার চালাতেন। ২৪ এর গণঅভ্যুত্থানে ১৯ জুলাই রামপুরায় পুলিশের গুলিতে শহিদ হন। একমাত্র ছেলে কাউসার (১৬) ঝালমুড়ি বিক্রি সংসারের হাল ধরেছে।”

শহিদ হাদিস (২৮) এর স্ত্রী হনুফা বেগম বলেন, “উনি বিশ্বরোড মোড়ে পুলিশের আক্রমণে গুলিবিদ্ধ হয়ে শহিদ হন। তিনি তিতাস বাস কাউন্টারে কাজ করতেন। আমি স্বামী হত্যার বিচার চাই।”

এসময় শহীদ পরিবারের সদস্যরা ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলে সংগঠিত সকল হত্যাকান্ডের বিচারের দাবি করেন।
মাওলানা আশরাফ মাহদী শহিদ পরিবারদের আশ্বস্ত করে বলেন, খুনিদের বিচার নিশ্চিত না করা পর্যন্ত আমরা রাজপথে আছি এবং থাকবো। নিজেদের সর্বোচ্চ সামর্থ্য দিয়ে শহিদ পরিবারের পাশেও থাকবো ইনশাআল্লাহ। 

 সাক্ষাৎ পর্বে আরও উপস্থিত ছিলেন, চব্বিশের গণ-অভ্যুত্থানের শহীদ মীর মুগ্ধের বাবা জনাব মীর মুস্তাফিজুর রহমান, বিশিষ্ট মিডিয়া ব্যক্তিত্ব ড. তৌফিকুল ইসলাম মিথিল, বিশিষ্ট সমাজ কর্মী আবু বকর সিদ্দিক জাবের, জাতীয় নাগরিক পার্টির ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রতিনিধি মুহাম্মদ রনি, তারেক জামিল ও নাসরুল্লাহ মুয়াজ প্রমুখ।

হাআমা/


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ