মুহাম্মদ মিজানুর রহমান
খুসখুসে কাশী, হালকা জ্বর কিংবা গায়ে হালকা ব্যথা –এমনতরো ছোটখাটো উপসর্গে আমরা নিজেরাই বা নিজেদের মধ্যেই কেউ ডাক্তারের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়ে যাই। ঘরে থাকলে টুপ করে একটা ওষুধ গিলে ফেলি অথবা ছুটে যাই ডিসপেনসারিতে! না, এটা ঠিক নয়। মনে রাখবেন, ওষুধ হেলাফেলার বিষয় নয়। ওষুধ যেমন রোগ সারায় তেমনি রোগ বাড়ায়ও। জীবন রক্ষাকারী ওষুধই কখনো কখনো হয়ে উঠতে পারে জীবনের ঘাতকও।
ওষুধ কেনার আগে ডাক্তারের পরামর্শ নিন
আপনি স্বয়ং অথবা আপনজনের কেউ হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েছেন? নিজেই নিজের ডাক্তার না সেজে বা এ ওর পরামর্শে কখনো ওষুধ কিনে বিপদ ডেকে আনবেন না। অনেকে অনেক সময় মোড়ের ওষুধের দোকানদারকে ডাক্তারের চেয়েও বেশি গুরুত্ব দিয়ে থাকেন। এমনটা কখনো না করি। যেকোনো সমস্যায়, সেটা ছোট হোক বা বড় হোক সর্বপ্রথম একজন অভিজ্ঞ ডাক্তারের শরণাপন্ন হোন। ডাক্তারের প্রেসক্রিপশন অনুযায়ী ওষুধ কিনুন এবং সেবন করুন।
কম দামের প্রলোভন এড়িয়ে চলুন
অনেক দোকানদারই কিছু কিছু ওষুধ কম দামে বিক্রি করে দেন। খোঁজ নিলে দেখবেন সস্তায় বিক্রি করা ওষুধগুলো আসলে বিক্রির জন্য নয়। এগুলো ডাক্তারদের দেয়া হয়েছিল স্যাম্পল হিসেবে। হাত ঘুরে সেই ওষুধগুলোই চলে এসেছে দোকানে। তাই দোকানদার কোনো ওষুধ কম দামে বিক্রি করার প্রলোভন দেখালে তার সেই ফাঁদে ভুলেও পা দেবেন না।
ওষুধ মিলিয়ে নিন
ফার্মেসিতে যারা কাজ করেন তারা প্রায়শই ব্যস্ত থাকেন বা তাড়াহুড়োর মধ্যে আপনাকে তিনি সঠিক ওষুধ নাও দিতে পারেন। তাই প্রেসক্রিপশনে লেখা ওষুধ এবং দোকানদারের দেওয়া ওষুধ একই কিনা কেনার আগে অবশ্যই মিলিয়ে নিন।
দেখে নিন মেয়াদ আছে কিনা
বেশিরভাগ মানুষই ওষুধ কেনার আগে ওষুধের মেয়াদ আছে কিনা সেটা দেখার গরজ অনুভব করেন না। মনে রাখবেন, মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ মারাত্মক ক্ষতির কারণ হতে পারে। তাই ওষুধ কেনার আগে ওষুধ উৎপাদনের তারিখ এবং মেয়াদ উত্তীর্ণের তারিখ ভালো করে দেখে নিন। ডাক্তার সাহেব কিংবা অন্য কেউ বিনা পয়সায় ওষুধ দিলেও মেয়াদ দেখতে ভুলবেন না।
নষ্ট কিনা বা লেবেল আছে কিনা তা দেখে নিন
ওষুধের মেয়াদ আছে কিন্তু ভেতরের ওষুধটা গলে গেছে, ভিজে গেছে বা অন্য কোনো ভাবে নষ্ট হয়ে যেতে পারে। এরকম ওষুধ কেনা থেকে বিরত থাকুন। তাছাড়া ওষুধের বোতল বা শিশিতে লেবেল লাগানো না থাকলে এমন ওষুধ ভুলেও কিনবেন না।
আরএইচ/