চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) শাখা ছাত্রশিবির আজ (১৯ মে) ৭ দফা দাবি নিয়ে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে। দাবিগুলোর মধ্যে শতভাগ আবাসন, চাকসু নির্বাচন, ফ্যাসিবাদের দোসরদের বিচারসহ বিভিন্ন বিষয় অন্তর্ভুক্ত ছিল।
বেলা সাড়ে ১২ টায় চাকসু ভবন থেকে শুরু হওয়া বিক্ষোভ মিছিলটি প্রশাসনিক ভবন হয়ে কাটা পাহাড় রোড পেরিয়ে জিরো পয়েন্টে এসে শেষ হয়। সেখানে এক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশে চবি ছাত্রশিবিরের সভাপতি মুহাম্মদ ইব্রাহীম প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন। এছাড়া, চট্টগ্রাম মহানগর দক্ষিণ শাখা ছাত্রশিবিরের সভাপতি ইব্রাহিম হোসেন রনি, চবি ছাত্রশিবিরের সেক্রেটারি মোহাম্মদ আলী এবং চট্টগ্রাম মহানগর উত্তর শাখা ছাত্রশিবিরের সাংগঠনিক সম্পাদক খুররম মুরাদও বক্তব্য রাখেন।
প্রধান অতিথি মুহাম্মদ ইব্রাহীম বলেন, "ফ্যাসিবাদের দোসরদের চাকরিচ্যুত করার কথা তো দূরের কথা, প্রশাসন তাদের বিভিন্ন জায়গায় পদায়ন করছে। এখন পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের ওপর হামলাকারীদের কোনো বিচার হয়নি।" তিনি আরও বলেন, “ছাত্রশিবির কখনোই কারো লাঠিয়াল হয়ে কাজ করেনি, করবেও না। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রশিবির কেবল বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩০ হাজার শিক্ষার্থীর প্রতিনিধিত্ব করতে চায়।”
এ সময় ছাত্রশিবিরের সাত দফা দাবি উত্থাপন করা হয়, যা দ্রুত সময়ের মধ্যে বাস্তবায়নের জন্য দাবি জানানো হয়। ছাত্রশিবিরের সাত দফা দাবিগুলো হলো:
১. শতভাগ আবাসন নিশ্চিত করতে হবে এবং আবাসন নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত অনাবাসিক শিক্ষার্থীদের আবাসন ভাতা প্রদান করতে হবে।
২. সকল বিভাগ ও ইনস্টিটিউটে সেশনজট নিরসন এবং শিক্ষার আধুনিকায়ন নিশ্চিত করতে হবে।
৩. পর্যাপ্ত ও নিরাপদ যাতায়াত সুবিধা নিশ্চিত করতে হবে।
৪. অনতিবিলম্বে চাকসু নির্বাচন দিতে হবে।
৫. টিএসসি স্থাপন, সেন্ট্রাল অডিটোরিয়াম নির্মাণ, কেন্দ্রীয় মসজিদ পুনর্নির্মাণ এবং অন্যান্য স্থাপনাসমূহ সংস্কার করতে হবে।
৬. জুলাই বিপ্লব ও ফ্যাসিবাদী শাসনামলে শিক্ষার্থীদের নির্যাতনে জড়িতদের স্থায়ী বহিষ্কার এবং শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারীদের চাকরিচ্যুত করতে হবে।
৭. ফ্যাসিবাদী শাসনামলে অবৈধ নিয়োগের সাথে জড়িতদের বিচার এবং নিয়োগপ্রাপ্তদের চাকরিচ্যুত করতে হবে।
এমএইচ/