শনিবার, ০৩ মে ২০২৫ ।। ২০ বৈশাখ ১৪৩২ ।। ৫ জিলকদ ১৪৪৬

শিরোনাম :
তাওয়াফের সময় কুরআন তিলাওয়াত করা যাবে? ক্ষুধা-অপুষ্টিতে ৫১ শিশুর মৃত্যু, হামলায় প্রাণহানি আরও ৭০ দারুল মাআরিফের নতুন মহাপরিচালক আল্লামা ফুরকানুল্লাহ খলীল কামিল পরীক্ষায় বসেছেন ৪৩ হাজার শিক্ষার্থী ‘মুসলিম উম্মাহ এক যোগ্য সন্তানকে হারালো’ ‘রাষ্ট্র সংস্কার নিয়ে বিএনপির সালাহউদ্দিনের ভাবনা জাতিকে শঙ্কিত করেছে’  আল্লামা সুলতান যওক নদভীর  ইন্তেকালে খেলাফত মজলিসের শোক প্রকাশ নদভী আমৃত্যু ইসলাম ও মুসলিম উম্মাহর কল্যাণে কাজ করেছেন: ধর্ম উপদেষ্টা নারী-পুরুষের জীবনব্যবস্থায় স্রষ্টার নির্ধারিত নীতিমালা অপরিহার্য লাখো মুমিনের গর্জনে কেঁপে উঠল সোহরাওয়ার্দীর বাতাস

কুরআনের শিক্ষা কখনও জ্বলবে না- জাতিসংঘে ইব্রাহিম রাইসি

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার
সংগৃহীত ছবি

সম্প্রতি সুইডেনে বেশ কয়েকবার প্রকাশ্যে কুরআন অবমাননার ঘটনা ঘটেছে। জাতিসংঘের ৭৮তম সাধারণ অধিবেশনে ভাষণ দেয়ার সময় এ বিষয়ে নিন্দা জানান ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি। এ সময় হাতে পবিত্র ধর্মগ্রন্থ কুরআন শরীফ নিয়ে তিনি বলেন, কুরআনের শিক্ষা কখনও জ্বলবে না।

সুইডেনে কুরআন পোড়ানো এবং হিজাব পরিহিত মেয়েদের ফ্রান্সে স্কুলে যেতে বাধা দেওয়ার মতো ইসলামবিদ্বেষী কাজের নিন্দা করে তিনি বলেন, কুরআন মানুষকে "আধ্যাত্মিকতা, সত্য এবং নৈতিকতার" আমন্ত্রণ জানায়।

মুসলিমদের পবিত্র গ্রন্থের অবমাননা ঠেকাতে জাতিসংঘের প্রতি আহ্বান জানিয়ে রাইসি বলেন, “বিশ্ব অভূতপূর্ব পরিবর্তনের সম্মুখীন হচ্ছে। মানুষের মূল্যবোধকে সংজ্ঞায়িত করতে পারে এমন আল্লাহর বাণীর চেয়ে ভালো আর কি হতে পারে?

তিনি আরও বলেন, আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি ধর্মের প্রতি শ্রদ্ধা জাতিসংঘের এজেন্ডায় গুরুত্ব পাওয়া উচিত।

প্রেসিডেন্ট বলেন, প্রতিবেশীদের সঙ্গে সহযোগিতা বাড়ানোর চেষ্টা করছে ইরান। এই অঞ্চলের অন্যান্য দেশের নিরাপত্তাকেও গুরুত্ব দিচ্ছে তেহরান।

তিনি আরও বলেন, যারাই বন্ধুত্বের জন্য হাত বাড়িয়ে দেবে তাদের স্বাগত জানানো হবে। স্বাধীন ও শক্তিশালী প্রতিবেশীর মাধ্যমে পুরো অঞ্চলে সুযোগ তৈরি হবে বলেও বিশ্বাস করেন ইরানের প্রেসিডেন্ট।

রাইসি বলেন, ইউক্রেন যুদ্ধকে সমর্থন করে না ইরান। এই সংঘাত বন্ধে যেকোনো ধরনের সহায়তা দিতে প্রস্তুত তার দেশ।

মাত্র ৫১টি দেশ নিয়ে তৈরি হওয়া সংস্থাটির বর্তমান সদস্য দেশ ১৯৩। জাতিসংঘের প্রধান শাখা ছয়টি। যার মধ্যে তিনটি শাখাকে মনে করা হয় সংস্থাটির কার্যক্রম পরিচালনার জন্য অপরিহার্য। এগুলো হলো- সাধারণ পরিষদ, নিরাপত্তা পরিষদ ও সেক্রেটারিয়েট বা সচিবালয়।

জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ সংস্থাটির একমাত্র শাখা, যেখানে ১৯৩টি সদস্য দেশের সবাই প্রতিনিধিত্ব করার সুযোগ পায়। প্রতিটি সদস্য দেশই এই সভায় বক্তব্য দিতে পারে।

সূত্র: আনাদোলু এজেন্সি

টিএ/


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ