শনিবার, ০৩ মে ২০২৫ ।। ২০ বৈশাখ ১৪৩২ ।। ৫ জিলকদ ১৪৪৬

শিরোনাম :
জ্ঞান ও প্রজ্ঞার আধার, বিশ্বমানের বাংলাদেশি আলেম চলে গেলেন আল্লামা সুলতান যওক নদভী এবার চা বাগানে ছবি তোলার সময় দুই বাংলাদেশিকে ধরে নিয়ে গেলো বিএসএফ কর্মকর্তাদের মেরুদণ্ড শক্ত করে কাজ করার নির্দেশ প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারীর এখন মানুষ মন খুলে লিখছেন, সমালোচনা করছেন : প্রেস সচিব গাজায় ত্রাণ বহনকারী জাহাজে ইসরায়েলের হামলা কাশ্মীর হামলার পেছনে ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা : দ্য এক্সপ্রেস ট্রিবিউন নারীবিষয়ক সংস্কার প্রস্তাব আগাগোড়া ইসলামবিরোধী: হেফাজতে ইসলাম পাকিস্তান নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে খাদ্য মজুতের নির্দেশ হেফাজতের মহাসমাবেশ সফল করতে সাভারে মোটর সাইকেল শোডাউন

ওয়াকফ আইন নিয়ে অল ইন্ডিয়া মিল্লি কাউন্সিলের বৈঠকে ৫ প্রস্তাবনা

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

 অল ইন্ডিয়া মুসলিম পার্সোনাল ল’ বোর্ডের (AIMPLB) তত্ত্বাবধানে অল ইন্ডিয়া মিল্লি কাউন্সিল রোববার (১৩ এপ্রিল) একটি জরুরি বৈঠক করে। হায়দ্রাবাদের স্থানীয় মদিনা এডুকেশন সেন্টারের নেহরু অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত এই সভায় ওয়াকফ আইন ২০২৫ এবং তার সম্ভাব্য প্রভাব নিয়ে আলোচনা হয়। সেখানে পাঁচটি প্রস্তাবনাও তুলে ধরা হয়।

বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন দেশের বহু বিশিষ্ট নেতা। যার মধ্যে ছিলেন: অল ইন্ডিয়া মুসলিম পার্সোনাল ল’ বোর্ডের সভাপতি মাওলানা খালিদ সাইফুল্লাহ রাহমানী, লোকসভার সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার আসাদউদ্দিন ওয়াইসি, কংগ্রেস সংসদ সদস্য ইমরান মাসুদ, ফাহিম কোরেশি, আজমতুল্লাহ হোসাইনি প্রমুখ। বক্তারা অভিযোগ করেন, ওয়াকফ আইন ২০২৫ হচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকারের একটি ষড়যন্ত্রমূলক পদক্ষেপ, যার মাধ্যমে ওয়াকফ সম্পত্তির ওপর সরকারের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করার চেষ্টা চলছে। এ আইনকে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ধর্মীয় ও সামাজিক অধিকারের ওপর আঘাত বলে চিহ্নিত করা হয়। গৃহীত প্রধান প্রস্তাবনা

১. ওয়াকফ আইন ২০২৫ সম্পূর্ণরূপে প্রত্যাখ্যান: সভা একমত হয়ে এই আইন বাতিলের দাবি জানায় এবং একে সংবিধানবিরোধী ও সংখ্যালঘু অধিকারের জন্য হুমকি বলে আখ্যায়িত করে।

২. সারাদেশে প্রতিবাদ আন্দোলন: একটি দেশব্যাপী গণআন্দোলনের ডাক দেওয়া হয়, যেখানে জনগণকে এই আইনের বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে আহ্বান জানানো হয়।

৩. ধর্মনিরপেক্ষ ও সংখ্যালঘু গোষ্ঠীর সঙ্গে ঐক্যবদ্ধতা: আইনবিরোধী সংগ্রামে ধর্মনিরপেক্ষ শক্তি ও অন্যান্য সংখ্যালঘুদের সাথে যৌথভাবে কাজ করার প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরা হয়।

৪. রাজ্য বিধানসভায় প্রস্তাব পাস: বিভিন্ন রাজ্যের বিধানসভাগুলোকে এই আইনের বিরুদ্ধে প্রস্তাব পাস করার জন্য আহ্বান জানানো হয়।

৫. সমস্ত ধর্মের মধ্যে সংহতি গঠন: খ্রিস্টান সম্প্রদায়সহ অন্যান্য সংখ্যালঘু গোষ্ঠীগুলোর প্রতিও সমর্থনের আহ্বান জানানো হয়, যারা ভবিষ্যতে অনুরূপ হুমকির সম্মুখীন হতে পারে। সভায় একটি সমন্বিত রাজনৈতিক ও আইনগত আন্দোলন গড়ে তোলার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি দেশজুড়ে সচেতনতামূলক সভা, জনসমাগম ও প্রচারাভিযানের ঘোষণা করা হয়।

সূত্র: রেডিয়েন্স নিউজ

এনএইচ/


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ