নিজের দেশের অর্থনীতির যখন যা ইচ্ছে তাই অবস্থা ঠিক তখনই পার্শ্ববর্তী দেশে আক্রমণ এ যেনো চরম বিলাসিতা। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এক কাশ্মীর হামলাকে কেন্দ্র করে পাকিস্তানের দিকে দায় চাপিয়ে কথিত প্রতিশোধের নামে হামলা চালায় পাকিস্তানের সাধারণ বেসামরিক নাগরিকদের ওপর। ভারতের কসাই খ্যাত প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নির্দেশে ভারতীয় বাহিনী বীরের মতো পাকিস্তানে হামলা চালাতে গিয়ে পরিণত হয় বিড়ালে। হারাতে হয় অপ্রতিরোধ্য রাফাল যুদ্ধবিমানসহ অত্যাধুনিক কমপক্ষে ৬টি যুদ্ধবিমান। পাকিস্তানের পাল্টা আক্রমণে এই যুদ্ধে ভারতের ক্ষতি হয় প্রায় ১০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার, যা বাংলাদেশী টাকায় প্রায় সাড়ে ১২ লক্ষ কোটি টাকার সমপরিমাণ। এতেই যেনো ক্ষেপেছেন ভারতীয়রা। রাস্তায় নেমেছেন মোদি বিরোধী আন্দোলনে।
আন্দোলনকারীদের দমাতে পুলিশ লাঠিচার্জ, গুলি বর্ষণ করছে এমনকি ধরপাকড়ও চালানো হচ্ছে দেশটির বিভিন্ন রাজ্যে। এসব আন্দোলনকারীদের আবার ভারতীয় গোদি মিডিয়া পাকিস্তানী বলে আখ্যা দিচ্ছে। যদিও আন্দালনকারীদের ৯০ শতাংশই মুসলিম বলে জানা গেছে। মোদি বিরোধী আন্দোলনে রাস্তায় নেমে আসা এসব সাধারণ মানুষের দাবী, পাকিস্তানের সাথে ইচ্ছে করেই পায়ে পা দিয়ে যুদ্ধ লাগিয়েছিলো নরেন্দ্র মোদির সরকার। যেখানে দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা টালমাটাল সেখানে এই যুদ্ধে জড়িয়ে এত বড় ক্ষতি মেনে নেওয়া দায়।
আন্দোলনকারীদের ভাষ্য, দেশের বর্তমান রিজার্ভের পরিমাণ তলানীতে, বেকার হয়ে পড়ে আছে কোটি কোটি যুবক। তিন বেলা খাবার জোটে না অনেক সাধারণ মানুষের। এসব নিয়ে কোন ভাবনা নেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির অথচ কোন রকমের প্রমাণ ছাড়া হামলা করে বসলো একটি দেশে। যার প্রতিহামলায় ভারতের অর্থনীতির অবস্থা এখন আরো বাজে।
ভারতের যেখানে এই যুদ্ধে ক্ষতি হয়েছে প্রায় শত বিলিয়ন ডলার সেখানে পাকিস্তানের ক্ষতি মাত্র ৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। হামলা পাল্টা হামলা, ঘাত-প্রতিঘাত শেষে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের হস্তক্ষেপে পাক-ভারত এই যুদ্ধের অবসান ঘটলেও দুই দেশেরই বেশ কিছু ঐতিহাসিক স্থাপনার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে যদিও সেখানে ভারতের ক্ষতির পরিমাণ সবচেয়ে বেশি।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বিরুদ্ধে যেভাবে আন্দোলন হচ্ছে তা দমাতে রীতিমতো হিমশিম খাচ্ছে দেশটির আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। এই আন্দোলন সময়ের সাথে সাথে তীব্র থেকে অধিক তীব্রতর হয়ে উঠছে।
এনএইচ/