শনিবার, ০৩ মে ২০২৫ ।। ২০ বৈশাখ ১৪৩২ ।। ৫ জিলকদ ১৪৪৬

শিরোনাম :
তাওয়াফের সময় কুরআন তিলাওয়াত করা যাবে? ক্ষুধা-অপুষ্টিতে ৫১ শিশুর মৃত্যু, হামলায় প্রাণহানি আরও ৭০ দারুল মাআরিফের নতুন মহাপরিচালক আল্লামা ফুরকানুল্লাহ খলীল কামিল পরীক্ষায় বসেছেন ৪৩ হাজার শিক্ষার্থী ‘মুসলিম উম্মাহ এক যোগ্য সন্তানকে হারালো’ ‘রাষ্ট্র সংস্কার নিয়ে বিএনপির সালাহউদ্দিনের ভাবনা জাতিকে শঙ্কিত করেছে’  আল্লামা সুলতান যওক নদভীর  ইন্তেকালে খেলাফত মজলিসের শোক প্রকাশ নদভী আমৃত্যু ইসলাম ও মুসলিম উম্মাহর কল্যাণে কাজ করেছেন: ধর্ম উপদেষ্টা নারী-পুরুষের জীবনব্যবস্থায় স্রষ্টার নির্ধারিত নীতিমালা অপরিহার্য লাখো মুমিনের গর্জনে কেঁপে উঠল সোহরাওয়ার্দীর বাতাস

সাহাবায়ে কেরামের দৃঢ় ঈমান

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

সাহাবায়ে কেরাম (রাঃ) ছিলেন ইসলামের প্রথম প্রজন্ম, যারা রাসূলুল্লাহ ﷺ এর সাহচর্য লাভ করেছেন এবং ঈমানের পথে অকল্পনীয় ত্যাগ স্বীকার করেছেন। তাঁদের ঈমান ছিল পর্বতের মতো অটল, বজ্রের মতো শক্তিশালী, আর দুনিয়ার সব কিছু থেকে অধিক প্রিয় ছিল আল্লাহ ও রাসূল ﷺ-এর প্রতি ভালোবাসা।

 ঈমানের দৃঢ়তার কিছু উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত
 ১. বিলাল (রাঃ) – "আহাদ! আহাদ!"
ইসলাম গ্রহণ করার পর মুশরিকরা তাঁকে চরম নির্যাতন করত। মরুভূমির উত্তপ্ত বালুর ওপর শুইয়ে, পাথর চেপে রেখে নির্যাতন করলেও তিনি শুধু বলতেন:
“আহাদ! আহাদ!” (এক, একমাত্র – আল্লাহর একত্ব)
তাঁর ঈমান এতই দৃঢ় ছিল যে, শত কষ্টেও মুখে আল্লাহর একত্ব ছাড়া কিছুই আসেনি।

 ২. খাব্বাব ইবনুল আরাত (রাঃ)
তিনি ছিলেন একজন গরিব দাস। কাফিরেরা তাঁর পিঠে আগুনের কয়লা বিছিয়ে দিতো, অথচ তিনি ইসলাম থেকে একচুল সরেননি। সাহাবীরা বলতেন, তাঁর পিঠ দেখলে মনে হয় যেন লোহায় দগ্ধ কোনো চামড়া।

৩. সুমাইয়া (রাঃ) – ইসলামের প্রথম শহীদা
ইসলামের জন্য নারী হিসেবে তিনিই প্রথম শহীদ হন। নির্যাতন সহ্য করে শহীদ হওয়া তাঁর ঈমানের দৃঢ়তার চরম উদাহরণ।

 ৪. উমার (রাঃ) ও ঈমানের ঘোষণা
ইসলাম গ্রহণ করার পর তিনি প্রকাশ্যে কাবার সামনে ঘোষণা দেন:
“যে মা তার ছেলেকে হারাতে চায়, সে যেন উমারকে বাধা দেয় ইসলাম গ্রহণে।”
তারপর তিনি সাহসের সাথে মুশরিকদের মোকাবেলা করেন।

 ৫. তাবুক যুদ্ধে সাহাবীদের ত্যাগ
চরম গরম, রসদ স্বল্পতা, দীর্ঘ পথ – তবুও সাহাবায়ে কেরাম নবীজির ডাকে সাড়া দিয়ে একযোগে বেরিয়ে পড়েন। ঈমান ছাড়া এমন ত্যাগ সম্ভব ছিল না।

সাহাবাদের ঈমানের বৈশিষ্ট্য
•    আল্লাহ ও রাসূল ﷺ এর প্রতি ভালোবাসা সর্বোচ্চ স্তরে ছিল।
•    তারা দুনিয়াকে ত্যাগ করে আখিরাতকে প্রাধান্য দিতেন।
•    যুদ্ধ, হিজরত, নিঃস্ব হওয়া – কোনো কিছুই ঈমান থেকে ফিরিয়ে নিতে পারেনি।

এনএইচ/


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ