শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ।। ১৪ বৈশাখ ১৪৩১ ।। ১৮ শাওয়াল ১৪৪৫


এবার ২৩ নাবিক নিয়ে অজানা গন্তব্যে এমভি আবদুল্লাহ

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার
ফাইল ছবি

চারদিন পেরিয়ে গেলেও ২৩ জন বাংলাদেশি নাবিক ও ক্রু সমেত জলদস্যূ কবলিত বানিজ্যিক জাহাজ ‘এমভি আবদুল্লাহ’র কোন কূলকিনারা হয়নি। মঙ্গলবার  ভারত মহাসাগরে জলদস্যুদের হাতে জিম্মি বাংলাদেশি জাহাজটিকে সোমালিয়ার গারকাদ বন্দর থেকে ২০ নটিক্যাল মাইল দূরে নোঙর করার পর গতকাল শুক্রবার সোমালিয়ান দস্যূরা সেটিকে নিয়ে অজানা গন্তব্যের দিকে রওনা হয় ।

ইতিমধ্যে ২৩ নাবিকসহ জাহাজটিকে দ্বিতীয় পক্ষের হাতে হস্তান্তর করে জলদস্যুদের প্রথম গ্রুপটি জাহাজ থেকে নেমে গেছে। গতকাল পর্যন্ত তাদের সাথে কোন ধরনের যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি জাহাজটির মালিক পক্ষের। তারা কোন মুক্তিপন দাবিও এখন পর্যন্ত করেনি। এসব তথ্য জানিয়েছে জাহাজটির মালিক প্রতিষ্ঠান কেএসআরএম গ্রুপ।  

ইইউএনএভিএফওআর এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, আটলান্টার সংগ্রহ করা তথ্যমতে জাহাজে অন্তত ১২ জন জলদস্যুকে চিহ্নিত করা হয়েছে। যদিও ছিনতাইয়ের সময় ২০ জন সশস্ত্র ব্যক্তির কথা বলা হয়েছিল। যুক্তরাস্ট্রের সংবাদ মাধ্যম এবিসি নিউজের প্রতিবেদনে জানা গেছে, ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের (ইইউ) মেরিটাইম সিকিউরিটি ফোর্সের একটি যুদ্ধজাহাজ ‘এমভি আবদুল্লাহ’র পিছু নিয়েছে।

এদিকে ভারতীয় নৌবাহিনী গতকাল জানিয়েছে, জিম্মি বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহকে সহায়তা করতে কাছাকাছি এলাকায় একটি ভারতীয় যুদ্ধজাহাজ ও একটি দূরপাল্লার সামুদ্রিক টহল উড়োজাহাজ অবস্থান করছে।

গতকাল শুক্রবার ভারতীয় নৌবাহিনীর এক বিবৃতির বরাত দিয়ে এনডিটিভি জানিয়েছে, সোমালিয়ান দস্যূরা জাহাজের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার আগে সাহায্য চেয়ে আবেদন জানিয়েছিলেন এমভি আবদুল্লাহর ক্যাপ্টেন। সাহায্যের আবেদন পেয়ে জাহাজটির কাছে প্রথমে তাদের একটি নজরদারি বিমান গিয়েছিল। কিন্তু ওইদিন (১২ মার্চ) বিমানটি নাবিকদের সঙ্গে আর কোনো যোগাযোগ স্থাপন করতে পারেনি।

এদিকে, কেএসআরএমের মিডিয়া উপদেষ্টা মিজানুল ইসলাম বলেন, জাহাজটির কেঅ্যান্ডআর ইন্স্যুরেন্স করা আছে। ইন্স্যুরেন্স কোম্পানিও জিম্মি নাবিকদের উদ্ধারে কাজ করছে।

এনএ/.


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ