শনিবার, ০৩ মে ২০২৫ ।। ২০ বৈশাখ ১৪৩২ ।। ৫ জিলকদ ১৪৪৬

শিরোনাম :
জ্ঞান ও প্রজ্ঞার আধার, বিশ্বমানের বাংলাদেশি আলেম চলে গেলেন আল্লামা সুলতান যওক নদভী এবার চা বাগানে ছবি তোলার সময় দুই বাংলাদেশিকে ধরে নিয়ে গেলো বিএসএফ কর্মকর্তাদের মেরুদণ্ড শক্ত করে কাজ করার নির্দেশ প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারীর এখন মানুষ মন খুলে লিখছেন, সমালোচনা করছেন : প্রেস সচিব গাজায় ত্রাণ বহনকারী জাহাজে ইসরায়েলের হামলা কাশ্মীর হামলার পেছনে ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা : দ্য এক্সপ্রেস ট্রিবিউন নারীবিষয়ক সংস্কার প্রস্তাব আগাগোড়া ইসলামবিরোধী: হেফাজতে ইসলাম পাকিস্তান নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে খাদ্য মজুতের নির্দেশ হেফাজতের মহাসমাবেশ সফল করতে সাভারে মোটর সাইকেল শোডাউন

পহেলা বৈশাখে তৌহিদবাদী গণসংস্কৃতির দিকে ফিরে আসুন: হেফাজত


নিউজ ডেস্ক

নিউজ ডেস্ক
শেয়ার
সংগৃহীত

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদকে নব্য প্যগানবাদী সংস্কৃতির কারখানা হিসেবে আখ্যা দিয়ে ভারতপন্থী এলিটদের সাংস্কৃতিক ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়েছে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ। 

রোববার (১৩ এপ্রিল) হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের আমির আল্লামা মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরী ও মহাসচিব আল্লামা সাজেদুর রহমান এক বিবৃতিতে এসব কথা বলেন। বিবৃতিতে তারা পহেলা বৈশাখে তৌহিদবাদী গণসংস্কৃতির দিকে সংশ্লিষ্টদের ফিরে আসার আহ্বানও জানিয়েছেন।  

বিবৃতিতে তারা বলেন, পহেলা বৈশাখের শোভাযাত্রাকে নব্য প্যাগানবাদী সংস্কৃতির মোড়লদের হাত থেকে রক্ষা করতে হবে। ভারতপন্থী সেক্যুলার এলিটদের সেবাদাস ঢাবির চারুকলা অনুষদ নব্য প্যাগানবাদী সংস্কৃতির কারখানা হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে এসেছে। তৌহিদবাদী গণমানুষের বিরুদ্ধে শুধু সাংস্কৃতিক ফ্যাসিবাদই নয়, ভারতের বশংবদ ফ্যাসিস্ট হাসিনার রাজনৈতিক ফ্যাসিবাদের হাতিয়ার হিসেবেও এটি ব্যবহৃত হয়েছে। ফলে ভারতপন্থী এলিটদের সাংস্কৃতিক ফ্যাসিবাদ নির্মূল করতে না পারলে আমাদের জাতীয় উৎসব ও সংস্কৃতিতে গণমানুষের তৌহিদবাদী চেতনার স্ফূরণের সুযোগ ঘটবে না। তাই ভারতপন্থী সেক্যুলার এলিটদের সাংস্কৃতিক ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ান।

তারা আরো বলেন, পৃথিবীতে ধর্মের ইতিহাসের বাইরে কোনো সভ্যতা নেই। ধর্মই হচ্ছে সভ্যতার বাপ-দাদা। এমনকি পশ্চিমা আধুনিকতার জন্মও খ্রিস্টিয় ধর্মসভ্যতার গর্ভে। কিন্তু স্থান-কাল নির্বিশেষে আমরা মুসলমানরা মিল্লাতে ইবরাহীম বা ইবরাহিম (আ.)-এর তৌহিদবাদী সভ্যতা ও ইতিহাসের ধারক ও অনুসারী। আমাদের ধর্মীয় ইতিহাস ও সভ্যতার আদি শিকড় আমরা ভুলে যেতে পারি না। আজকে ধর্মনিরপেক্ষতা ও সর্বজনীনতার নামে যারা সংস্কৃতির ছলে নব্য প্যাগানবাদ চাপিয়ে আমাদেরকে বৈদিক সভ্যতার দিকে ধাবিত করতে চায়, তাদের এই ধূর্ত ইন্ডিয়ান প্রকল্প ও ষড়যন্ত্র নস্যাৎ করে দিতে হবে। সেজন্য পহেলা বৈশাখ উদযাপনকে সবার করে তুলতে তৌহিদবাদী গণসংস্কৃতির দিকে সংশ্লিষ্ট সকলকে ফিরে আসার জোর আহ্বান করছি।

নেতারা বলেন, ভুলে যাওয়া চলবে না যে, মুসলমানরাই বাংলা সনের প্রবর্তক। আর মুসলমান মাত্রই সব ধরনের প্যাগানবাদী সংস্কৃতি ও বোধবিশ্বাস থেকে মুক্ত। কিন্তু মুসলমান হয়েও যারা তৌহিদি চেতনার প্রশ্নে আপস করবেন, তারা বড়জোর সেক্যুলার হতে পারেন—কিন্তু কোনোভাবেই আর মুসলমানি সত্তা রক্ষা করতে পারেন না। ইন্ডিয়ার মদদপুষ্ট মূর্তিবাদী বা প্যাগানবাদী সাংস্কৃতিক ষড়যন্ত্রের ব্যাপারে আমরা বাংলাদেশের সমগ্র মুসলিম জনতাকে সচেতন হতে আহ্বান করছি।

এসএকে/


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ