শনিবার, ০৩ মে ২০২৫ ।। ২০ বৈশাখ ১৪৩২ ।। ৫ জিলকদ ১৪৪৬

শিরোনাম :
জ্ঞান ও প্রজ্ঞার আধার, বিশ্বমানের বাংলাদেশি আলেম চলে গেলেন আল্লামা সুলতান যওক নদভী এবার চা বাগানে ছবি তোলার সময় দুই বাংলাদেশিকে ধরে নিয়ে গেলো বিএসএফ কর্মকর্তাদের মেরুদণ্ড শক্ত করে কাজ করার নির্দেশ প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারীর এখন মানুষ মন খুলে লিখছেন, সমালোচনা করছেন : প্রেস সচিব গাজায় ত্রাণ বহনকারী জাহাজে ইসরায়েলের হামলা কাশ্মীর হামলার পেছনে ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা : দ্য এক্সপ্রেস ট্রিবিউন নারীবিষয়ক সংস্কার প্রস্তাব আগাগোড়া ইসলামবিরোধী: হেফাজতে ইসলাম পাকিস্তান নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে খাদ্য মজুতের নির্দেশ হেফাজতের মহাসমাবেশ সফল করতে সাভারে মোটর সাইকেল শোডাউন

শান্তির দেশ চাই, হানাহানি চাই না: সেনাপ্রধান

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান বলেছেন, ‘আমরা শান্তির দেশ চাই, শৃঙ্খলার দেশ চাই। আমরা এখানে হানাহানি, বিদ্বেষ চাই না।’ তিনি বলেছেন, ‘বিভিন্ন মত থাকতে পারে। অবশেষে আমরা সবাই সবাইকে যেন শ্রদ্ধা করি। একে অপরের বক্তব্য, মতামতকে যেন শ্রদ্ধা করি। আমাদের নিজস্ব মতামত থাকবে, সেই অনুযায়ী আমরা অবশ্যই কাজ করব। কিন্তু আমাদের একে অপরের প্রতি যাতে শ্রদ্ধাবোধ থাকে, সেদিকে আমাদের লক্ষ রাখা জরুরি।’

আজ রোববার সকালে ঢাকার মেরুল বাড্ডায় আন্তর্জাতিক বৌদ্ধবিহারে ‘সম্প্রীতি ভবনের’ ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান এ কথা বলেন। অনুষ্ঠানে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানে সেনাপ্রধান বলেন, ‘গৌতম বুদ্ধের যেই নীতি—অহিংসবাদ ও সম্প্রীতি, মানুষের প্রতি ভালোবাসা, হিংসা-বিদ্বেষবিহীন দেশ, এটাই আমরা গড়ে তুলতে চাই। আমরা চাই, সবাই এখানে একসঙ্গে সুন্দরভাবে বসবাস করব। সেই উদ্দেশ্যে সব সময় কাজ করে যাচ্ছি।’ তিনি বলেন, ‘আমরা সবাই আপনাদের সঙ্গে আছি। এ দেশ সবার। হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিষ্টান-মুসলমান সবার এই দেশ। এই সম্প্রীতি বজায় রেখে আমরা বাস করতে চাই।’

চট্টগ্রামে কাজ করার অভিজ্ঞতা বর্ণনা করতে গিয়ে জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান বলেন, ‘সেখানে আমরা ওতপ্রোতভাবে বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের সঙ্গে ছিলাম। সেখানে কঠিন চিবরদান অনুষ্ঠান হয়েছে। সেখানে গিয়েছি। তাদের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে কাজ করেছি।’ তিনি বলেন, ‘আমরা চাই, পার্বত্য চট্টগ্রামে যেন শান্তি বিরাজ করে। তার জন্য যা কিছু করতে হয়, আমরা করতে রাজি আছি। সমগ্র দেশে এই সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষার জন্য যা কিছু করতে হয়, সেটা আমরা করতে সব সময় সদা প্রস্তুত থাকব।’

সম্প্রীতি ভবনের জন্য ৬–৭ কোটি টাকা ব্যয় হবে বলেও জানান সেনাপ্রধান। তিনি বলেন, ‘এটা আমরা করে দিচ্ছি।’ এক থেকে দেড় বছরের মধ্যে যাতে এর নির্মাণ শেষ হয়, সে নির্দেশনা দিয়েছেন বলেও জানান তিনি।

এমএইচ/


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ