শনিবার, ০৩ মে ২০২৫ ।। ২০ বৈশাখ ১৪৩২ ।। ৫ জিলকদ ১৪৪৬

শিরোনাম :
জ্ঞান ও প্রজ্ঞার আধার, বিশ্বমানের বাংলাদেশি আলেম চলে গেলেন আল্লামা সুলতান যওক নদভী এবার চা বাগানে ছবি তোলার সময় দুই বাংলাদেশিকে ধরে নিয়ে গেলো বিএসএফ কর্মকর্তাদের মেরুদণ্ড শক্ত করে কাজ করার নির্দেশ প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারীর এখন মানুষ মন খুলে লিখছেন, সমালোচনা করছেন : প্রেস সচিব গাজায় ত্রাণ বহনকারী জাহাজে ইসরায়েলের হামলা কাশ্মীর হামলার পেছনে ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা : দ্য এক্সপ্রেস ট্রিবিউন নারীবিষয়ক সংস্কার প্রস্তাব আগাগোড়া ইসলামবিরোধী: হেফাজতে ইসলাম পাকিস্তান নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে খাদ্য মজুতের নির্দেশ হেফাজতের মহাসমাবেশ সফল করতে সাভারে মোটর সাইকেল শোডাউন

নির্মমতার শিকার গাজার ৫০ হাজার গর্ভবতী নারী


নিউজ ডেস্ক

নিউজ ডেস্ক
শেয়ার
ছবি: ইন্টারনেট

|| জহিরুল ইসলাম ||

গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের বর্বরতা বেড়েই চলছে প্রতিনিয়ত। হানাদার বাহিনীর ভয়াবহ তাণ্ডব আর খাদ্য সংকটের কারণে করুণ মৃত্যুই যেন এখন অসহায় মুসলমানদের নিয়তি। নিষ্পাপ শিশু থেকে শুরু করে নারী, বৃদ্ধ কেউ মুক্ত নয় ইসরায়েলের পাশবিকতা থেকে। পাহাড়সম ভারি দুশ্চিন্তায় দুঃসহ সময় পার করছেন ফি লি স্তি নের ৫০ হাজার গর্ভবতী নারী। উদরে অনাগত মানিক। অনিশ্চিত তার শুভাগমন‌। অনিশ্চিত সবকিছুই। এমন লোমহর্ষক দৃশ্যপটের নামই এখন ফিলিস্তিন।

জাতিসংঘের রিপোর্টে বলা হয়েছে যে, বর্তমানে গাজা উপত্যকায় ৫০ হাজার গর্ভবতী নারী প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা থেকে বঞ্চিত।

টুইটারে প্রকাশিত একটি বিবৃতিতে বলা হয়েছে যে, গাজা উপত্যকায় ৫০ হাজার গর্ভবতী নারী চিকিৎসা সেবা পাচ্ছেন না। তাদের মধ্যে ৫,৫০০ জন নারীর এই অক্টোবর মাসেই সন্তান প্রসব করবেন। এই নারীদের এখন জরুরি স্বাস্থ্যসেবা এবং সুরক্ষা প্রয়োজন উল্লেখ করে জাতিসংঘের এক বিবৃতিতে সকলকে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইন  মেনে চলার আহ্বান জানানো হয়েছে৷

জাতিসংঘের জনসংখ্যা পরিষদের চেয়ারম্যান ডমিনিক অ্যালেন আমেরিকান নেটওয়ার্ক সিএনএন ও টুইটারের একটি সাক্ষাৎকারে বলেন, গাজার চিকিৎসাব্যবস্থা মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে। চলমান যুদ্ধের কারণে সব পণ্ড হয়ে আছে।

তিনি আরো বলেন, এই গর্ভবতী নারীদের নিয়ে আমরা অত্যন্ত উদ্বিগ্ন‌। তাদের কোনো আশ্রয় নেই। তারা কোথাও যেতে পারছে না। তাদের জীবন ভয়াবহ চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে।

তিনি এসব নারীদের ব্যাপারে আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, প্রসব পূর্ববর্তী মুহূর্তগুলোতে, বিশেষত গর্ভাবস্থার শেষ তিন মাস এই বিপর্যয়ের মধ্যে পার কতটা ভয়াবহ হতে পারে! যখন তাদের পানাহার, নিদ্রা এবং পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার প্রতি বিশেষ গুরুত্ব দেয়া প্রয়োজন, তখন তারা রয়েছেন সম্পূর্ণ উল্টো আবহে। 

চিকিৎসা কেন্দ্রের নাজুক পরিস্থিতি তুলে ধরে তিনি বলেন যে, হাসপাতালের অবস্থা খুবই শোচনীয়। অনিরাপত্তার কারণে চিকিৎসকরা হাসপাতালে যেতে পারছেন না। বিবৃতিতে অ্যালেন চিকিৎসা কেন্দ্রগুলো নিরাপদ রাখার ব্যাপারে জোর দাবি জানান।

সূত্র: গাজা/আনাতোলিয়া

কেএল/


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ