সোমবার, ১৯ মে ২০২৫ ।। ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ ।। ২১ জিলকদ ১৪৪৬

শিরোনাম :
আমরা কখনোই ইসরাইলকে স্বীকৃতি দেব না: পাকিস্তান নির্বাচন হতে পারে ডিসেম্বরেই তবে জুনের পরে নয় : প্রধান উপদেষ্টা ‘সমমনা ইসলামী দলগুলো একত্রে নির্বাচন করলে বিজয় সম্ভব’ আরও সাঁড়াশি ইসরায়েল, গাজায় ব্যাপক স্থল হামলা শুরু জমিয়ত সহ-সভাপতি আব্দুল কুদ্দুস কাসেমীকে দেখতে হাসপাতালে জমিয়ত মহাসচিব  সৌদি-ইসরায়েলের সম্পর্ক ঠেকাতে গাজায় ঝরল ৫৩ হাজার প্রাণ এবার খুলনা সিটি নির্বাচনের ফলাফল বাতিলের দাবিতে হাতপাখার প্রার্থীর মামলা ‘আত্মস্বীকৃত পতিতাদের অনতিবিলম্বে গ্রেফতার করুন’ বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস কুমিল্লা পশ্চিম জেলা কমিটি গঠন মানবিক করিডর ও সমুদ্র বন্দর সিদ্ধান্ত জাতীয় স্বার্থের পরিপন্থী: ইসলামী ঐক্যজোট 

হিজাবফোবিয়ার প্রতিকার চেয়ে প্রফেসর ইউনূসের কাছে খোলা চিঠি

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

সৈয়ব আহমেদ সিয়াম 

রবিবার (৬ এপ্রিল ২০২৫) সোশ্যাল মিডিয়াতে ইন্ডিপেন্ডেন্ট ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের সহযোগী অধ্যাপক এবং বায়োমেডিকেল রিসার্চ ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক ড. মোহাম্মদ সরোয়ার হোসেনের একটি চিঠি আলোচনায় আসে। যেখানে প্রফেসর ইউনূসের কাছে বাংলাদেশে বিদ্যমান কাঠামোগত ইসলাম বিদ্বেষ ও হিজাবফোবিয়ার প্রতিকার চাওয়া হয়েছে।

ড. মোহাম্মদ সরোয়ার হোসেন চিঠিতে লেখেন:

আমার মেয়ের ভয়েস প্রফেসর ইউনুসকে পৌঁছে দিচ্ছি। সে নারী হিসেবে কাঠামোগত ইসলামোফোবিয়ার শিকার।

আমার মেয়ে ছোটবেলা থেকে হিজাব পরিধান করে। সিঙ্গাপুরে তার জন্ম। আজ সে জাতীয় পরিচয় পত্রের জন্য ছবি তুলতে যায়। আইডি'র জন্য ছবি তোলার সময় হিজাব খুলে কান বের করতে বাধ্য করা হয়। এটা সে মেনে নিতে পারছে না। এই অপমানজনক পরিস্থিতি তৈরী হওয়ার আশঙ্কায় আমার মেয়ে গতকাল রাত থেকে টেনশনে ছিল। সে প্রতিবাদ করেছে, তবে উপস্থিত কর্মচারীরা জানায় তাদের কিছু করার নেই, এটি সরকারের নিয়ম।

২০১২ সালে সিঙ্গাপুর থেকে ফেরার পর আমার স্ত্রীকে জাতীয় পরিচয় পত্র করতে হিজাব খুলতে বলায় তিনি প্রতিবাদ করে আইডি কার্ড না করেই চলে আসেন। বাধ্য হয়ে ৮ বছর পর আমার স্ত্রী আইডি কার্ড করান। বর্তমানে বাংলাদেশে আইডি কার্ড ছাড়া কারো অস্তিত্বই স্বীকৃত হয় না। আমার স্ত্রী সিঙ্গাপুরের পার্মানেন্ট রেসিডেন্ট ছিলেন। প্রবাসে কখনও এমন পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে হয়নি।

২০০৭ সালে কেয়ার টেকার সরকার মেয়েদের হিজাব খুলে শনাক্তকরণের কথা বলে এই নিয়ম চালু করে। যারা এই পলিসি তৈরি করেছেন, তাদের মধ্যে ইসলাম বিরোধী লোকেরা ছিলেন। ফিঙ্গারপ্রিন্ট নেয়ার পরও কেন হিজাব খুলে কান বের করতে হবে? এটি ইচ্ছাকৃতভাবে মুসলিম নারীদের টার্গেট করে করা হয়েছে। এই কাঠামোগত ইসলামোফোবিয়ার ইস্যু নিয়ে আমিসহ অনেকে প্রতিবাদ করেছি, কিন্তু আগের সরকার তা কর্ণপাত করেনি। ৯২% মুসলিমের দেশে ইসলাম প্র্যাকটিসিং নারীদের অবমাননা করা হচ্ছে রাষ্ট্রীয়ভাবে! 

প্রফেসর ইউনুসকে এই বিষয়টি সুরাহা করতে অনুরোধ করছি, কারণ তিনি নারীভিত্তিক ক্ষুদ্র ঋণের কনসেপ্টের উপর ভিত্তি করে নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন। তিনি সব সময় নারীদের কথা বলেন, সরকার প্রধান হয়ে নারীর সন্মানের অবমানার বিষয়টি আশা করি এড়িয়ে যাবেন না। 

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়

এমএইচ/


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ