সোমবার, ১৯ মে ২০২৫ ।। ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ ।। ২১ জিলকদ ১৪৪৬

শিরোনাম :
আমরা কখনোই ইসরাইলকে স্বীকৃতি দেব না: পাকিস্তান নির্বাচন হতে পারে ডিসেম্বরেই তবে জুনের পরে নয় : প্রধান উপদেষ্টা ‘সমমনা ইসলামী দলগুলো একত্রে নির্বাচন করলে বিজয় সম্ভব’ আরও সাঁড়াশি ইসরায়েল, গাজায় ব্যাপক স্থল হামলা শুরু জমিয়ত সহ-সভাপতি আব্দুল কুদ্দুস কাসেমীকে দেখতে হাসপাতালে জমিয়ত মহাসচিব  সৌদি-ইসরায়েলের সম্পর্ক ঠেকাতে গাজায় ঝরল ৫৩ হাজার প্রাণ এবার খুলনা সিটি নির্বাচনের ফলাফল বাতিলের দাবিতে হাতপাখার প্রার্থীর মামলা ‘আত্মস্বীকৃত পতিতাদের অনতিবিলম্বে গ্রেফতার করুন’ বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস কুমিল্লা পশ্চিম জেলা কমিটি গঠন মানবিক করিডর ও সমুদ্র বন্দর সিদ্ধান্ত জাতীয় স্বার্থের পরিপন্থী: ইসলামী ঐক্যজোট 

কোথায় ভর্তি হবেন? আল্লামা নূর হোসাইন কাসেমী রহ.-এর ৪ নসিহত

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার
ছবি: আওয়ার ইসলাম

|| আল্লামা নূর হোসাইন কাসেমী রহ. ||

বছরের সূচনাতে ছাত্ররা মাদরাসা নির্বাচনে হিমশিম খায়। কেউ কেউ উপযুক্ত মাদরাসায় থেকেও তার কদর করতে পারে না ৷ ফলে নেয়ামতের নাশুকরী করে। আবার কেউ কেউ অনুপযুক্ত প্রতিষ্ঠানে থেকে জীবন নষ্ট করে। তাদের জন্য রাহবারে মিল্লাত আল্লামা নূর হোসাইন কাসেমী রহ. এর কিছু নির্দেশনা।  আল্লামা কাসেমী বলেন, মাদরাসা নির্বাচনে চারটি বিষয়ের খেয়াল রাখা আবশ্যকীয়।

১. সোহবতে আহলে দিল

অর্থাৎ একজন ছাত্র যে প্রতিষ্ঠানে যাবে সেখানে যেন কমপক্ষে সে একজন আল্লাহওয়ালা ও নিসবতওয়ালা বুযুর্গকে পায় ৷ যার সোহবতে ছাত্রদের বাহ্যিক ও অভ্যন্তরীণ পরিবর্তন হয় ৷ যার মাঝে দুনিয়ার উপর আখেরাতের ফিকির প্রাধান্য পায় ৷

পড়ুন: দেশের বিশেষ কওমি মাদরাসাগুলোর ভর্তি কখন থেকে জেনে নিন

২. তালিম ও তরবিয়ত

তালিম বলতে আমরা কী বুঝি? মাদরাসার পক্ষ থেকে প্রথম সাময়িক, দ্বিতীয় সাময়িক এভাবে শেষ পর্যন্ত যা পড়ানো হবে সেটা তালিম৷ আমার উস্তাজে মুহতারাম হযরত মাওলানা শায়খুল হাদীস যাকারিয়া রহ. বলেন, তালিম হল যে কোনো কিতাবকে উস্তাজ শুরু থেকে এই পন্থায় পড়াবে যে, বাকি কিতাব সে নিজেই ওই পন্থায় পড়ে শেষ করতে পারে ৷

তরবিয়ত বলতে কী বুঝি? ছাত্রদেরকে নিজের মতের বিরুদ্ধে গেলেই বকাঝকা! আল্লাহ হেফাজত করুন ৷ তরবিয়ত বলতে ছাত্রের খেলাফে শরা আদত যেন ইবাদতে পরিবর্তন হয় উস্তাজের দিক নির্দেশনায়।

৩. যোগ্য উস্তাযের তত্বাবধায়ন গ্রহণ করা

অর্থাৎ যে মাদরাসায় ভর্তি হবে সেখানে যোগ্য উস্তাযের তত্বাবধানে চলার চেষ্টা করা ৷ প্রশ্ন হলো যোগ্য উস্তায কে? যার কমপক্ষে দুটি গুণ হবে-

ক. ছাত্র গঠনে তার অন্তরে ব্যথা ও দরদ থাকা ৷

খ. অধিক পরিমানে অধ্যয়ন থাকা এবং শাস্ত্রীয় অভিজ্ঞ হওয়া ৷ দরসে ছাত্রদের মেধা ও প্রয়োজন অনুপাতে আলোচনা পেশ করতে সক্ষম হওয়া ৷

৪. মুতালাআ

মাদরাসায় মুতালাআর খোরাক দেয়ার জন্য পর্যাপ্ত কিতাবের ব্যবস্থা আছে কিনা খেয়াল করা।

উপরোক্ত চারটি বিষয় যে প্রতিষ্ঠানে রয়েছে সে প্রতিষ্ঠানকে ছাত্ররা নিজের জন্য মুনাসিব মনে করতে পারে ৷ চাই সে প্রতিষ্ঠান মফস্বলে হোক বা শহরে হোক ৷ আর যে প্রতিষ্ঠানে উপরোক্ত ব্যবস্থা থাকার পরও ছাত্ররা প্রতিষ্ঠান পরিবর্তন করে তারা আল্লাহ তায়ালার নিয়ামতের বে কদরি করে ৷  আল্লাহ তায়ালা সকলকে নিয়ামতের কদর করার তাওফিক দান করুন৷ আমীন।

অনুলিখন : মাওলানা জাবের কাসেমী

হাআমা/


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ