মঙ্গলবার, ০৬ মে ২০২৫ ।। ২২ বৈশাখ ১৪৩২ ।। ৮ জিলকদ ১৪৪৬


ছুটির দিনকে আরো আনন্দময় করতে পারেন যেভাবে

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

যুবাইর ইসহাক ।।

ছুটির দিন মানেই একটু ফুরসৎ। সারা সপ্তাহের ব্যস্ততার পর একটু অবকাশ। যেন সপ্তাহ শেষে একটু হাফ ছেড়ে বাঁচা। হেলে-দুলে ঘুমিয়ে কোন মতে দিন কাটানো।

সপ্তাহ শেষে আমারা একটি শুক্রবার পাই । নিজের মতো কাটানোর মতো আমাদের হাতে এই দিন আসে। আমরা এ দিনে একবারে ফ্রি থাকি। আমাদের হাতে কোন কাজ থাকে না। এদিন আমাদের আলস্য ভর করে। দেখতে দেখতে দিনটি কীভাবে যেন চলে যায়। আমরা কেনোভাবে ধরে রাখতে পারি না।

অথচ পুরো দিনে কিছুই করা হয় না। আমাদের অনেক পরিকল্পনা পর্যন্ত ধুলোয় মিশে যায়। কিন্তু কোনো কাজেই লাগাতে পারি না। অথচ কিছু কাজ করতে পারলেই আমাদের দিনটা আরো আনন্দময় কাটে এবং হয়ে যায় কাজের।

১. পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে সময় দিন

হয়তো ব্যস্ততার কারণে পুরো সপ্তাহ পরিবারে সদস্যদের সাথে জমে উঠতে পারেন না। সবার সাথে ঠিক মতো সময় দেয়া সম্ভব হয় না। ছুটির দিন কাজে লাগান। তাদের সাথে নানান বিষয়ে বলুন। সবার অবস্থা জানুন।খানাটাও একসাথে সারুন। সারাটা দিন তাদের সাথে জড়িয়ে থাকুন।

২. দূরে থাকলে বাড়িতে কথা বলুন

যারা পরিবার থেকে দূরে অবস্থান করি। বাহিরে খুব ব্যস্ত সময় কাটাই। সারা দিনের ব্যস্ততায় পরিবারের সবার সাথে কথা বলা সম্ভব হয় না। এই দিন কাজে লাগান। মা-বাবা বা পরিবারের অন্য সদস্যদের সাথে দীর্ঘ সময় কথা বলুন। পরিবারের খোঁজখবর নিন।

বন্ধুদের সাথে যোগাযোগ করুন

শিক্ষা জীবন বা অন্যান্য সময় আমাদের অনেক ভালো বন্ধু থাকে। কিন্তু সময়ের ব্যবধানে আমাদের পৃথক হতে হয়। অবস্থান করতে হয় অনেক দূরে। দূরত্ব আর সময়ের অভাবে সবসময় সবার সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয় না। তাদের খোঁজখবর নেওয়া যায় না।

এই ছুটির দিনে আপনি বন্ধুদের খবর নিতে পারেন। এতে সম্পর্ক আগের মতোই থাকবে। এতে মনও থাকবে ভালো। এমনকি দূরে থেকে অনেক সাহায্য হতে পারে।

৪. জুমার নামাজের প্রস্তুতি নিন

শুক্রবারকে বলা হয় সপ্তাহিক ঈদের দিন। তার অন্যতম কারণ, এই দিন আমরা জুমার সালাত আদায় করি। তাই আমাদের ভালোভাবে জুমার সালাতের প্রস্তুতি নেওয়া প্রয়োজন।

হযরত সালমান ফারসী রা. থেকে বর্ণীত, তিনি বলেন, রাসুল সা. বলেছেন, যে ব্যক্তি জুমার দিন গোসল করে এবং সাধ্যানুযায়ী উত্তমরুপে পরিচ্ছন্নতা লাভ করে। অতঃপর নিজের সঞ্চিত তেল থেকে নিজের শরীরে কিছু তেল মাখে। তারপর সুগন্ধি থাকলে কিছু সুগন্ধি ব্যবহার করে।তারপর মসজিদে গমন করে এবং দুই ব্যক্তির মধ্যে ফাঁক করে না।

তারপর তার পক্ষে যা সম্ভব নফল সুন্নাত নামায পড়ে এবং ইমাম যখন খোতবা দেন, সে নিশ্চুপ হয়ে শুনে। নিশ্চয় তার এই জুমা ও পরবর্তী জুমার বধ্যবর্তী সময় সমস্ত গুনাহের মাফ করে দেওয়া হয়। (মিশকাত)

৫. বই পড়ুন

হয়তো সারা সপ্তাহের ব্যস্ততায় বই খুলে বসার সুযোগ হয় না। এই ছুটির দিন সেই ঘাটতি পূরণ করে নেওয়ার অন্যতাম একটা সুযোগ। তাছাড়া বই পড়া তো কোন কাজ না। বরং আনন্দের বিষয়।বই পাঠ আপনার ছুটির দিনের আনন্দটা আরো বাড়িয়ে দিবে।

৬. কোথাও ঘুরতে যেতে পারেন

কোথাও ঘুরতে বের হলে আমরা অন্যরকম অনুভব করি। আমাদের অনেক দিনের বিষণ্নতা দূর হয়। আমাদের মন অনেক ভালো করে। এতে সামনের কাজের অনেক সাহায্য হয়। এই ছুটির দিনে কোথাও ঘুরতে যেতে পারেন।

৭. সামনে সপ্তাহের পরিকল্পনা নিন

পরিকল্পনা ছাড়া কোন কাজেই বেশি ফলপ্রদ হয় না। কোন কোন ক্ষেত্রে কাজটা পরিপূর্ণও সম্ভব হয় না। কিন্তু আগ থেকে পরিকল্পনা করে কাজগুলো গুছিয়ে রাখলে তা সহজ হয়। তাই এই ছুটির দিনে পুরো সপ্তাহের কাজ গুছিয়ে রাখুন।

আরএম/


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ