রবিবার, ১৮ মে ২০২৫ ।। ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ ।। ২০ জিলকদ ১৪৪৬

শিরোনাম :
‘আত্মস্বীকৃত পতিতাদের অনতিবিলম্বে গ্রেফতার করুন’ বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস কুমিল্লা পশ্চিম জেলা কমিটি গঠন মানবিক করিডর ও সমুদ্র বন্দর সিদ্ধান্ত জাতীয় স্বার্থের পরিপন্থী: ইসলামী ঐক্যজোট  ‘আল্লামা সুলতান যওক নদভী ছিলেন ইলম আমলের এক অপূর্ব দৃষ্টান্ত’ তিনি জাতির মগজ হয়ে উঠতে পারেননি, হয়েছেন বিপজ্জনক বিষ্ঠা নারী কমিশন ‘ধর্ম বনাম নারী’কে মুখোমুখি দাঁড় করিয়েছে : মহিলা ফোরাম রাষ্ট্রীয় ও ধর্মীয় কর্তৃপক্ষকে সমস্যার গোড়ায় যাওয়ার অনুরোধ ‘জামায়াতপন্থিরা নামাজ পড়াতে পারবে না’, বিএনপি নেতার বক্তব্যে তোলপাড় স্বাস্থ্য-শিক্ষাসহ সামাজিক সুরক্ষা খাতে বরাদ্দ বাড়াতে হবে: পীর সাহেব চরমোনাই এবারের বাজেট দায়িত্বজ্ঞানহীন নয় : পরিকল্পনা উপদেষ্টা

ইসরাইলকে এআই সহায়তা দেয়ার কথা স্বীকার করল মাইক্রোসফট

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজায় চলমান আগ্রাসনে ইসরাইলি সেনাবাহিনীকে উন্নত কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) এবং ক্লাউড কম্পিউটিং সেবা দেয়ার বিষয়টি স্বীকার করেছে মার্কিন প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান মাইক্রোসফট। পণবন্দীদের উদ্ধার ও গোয়েন্দা তথ্য বিশ্লেষণে এই সহায়তা দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।

তবে মাইক্রোসফট দাবি করেছে, তাদের অ্যাজিওর ক্লাউড প্ল্যাটফর্ম বা এআই প্রযুক্তি ব্যবহার করে গাজায় সরাসরি হামলা বা সাধারণ নাগরিকদের ক্ষতি করার কোনো প্রমাণ তারা পায়নি।

শনিবার (১৭ মে) মার্কিন বার্তাসংস্থা অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।

মাইক্রোসফটের করপোরেট ওয়েবসাইটে একটি স্বাক্ষরবিহীন ব্লগ পোস্টে এ তথ্য জানানো হয়। এটিই সম্ভবত প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে প্রথমবারের মতো প্রকাশ্যে স্বীকারোক্তি যে গাজা যুদ্ধে তারা ইসরাইলি প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সাথে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করেছে।

এ স্বীকারোক্তির প্রায় তিন মাস আগে অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসের এক অনুসন্ধান প্রতিবেদনে উঠে আসে, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের হামলার পর ইসরাইলি সেনাবাহিনী বেসরকারি এআই প্রযুক্তির ব্যবহার ২০০ গুণ বাড়িয়েছে এবং এতে মাইক্রোসফটের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল।

ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, গোয়েন্দা নজরদারির মাধ্যমে সংগৃহীত তথ্য অনুবাদ, বিশ্লেষণ ও যাচাই করার কাজে অ্যাজিওর ব্যবহার করা হত। এসব তথ্য পরবর্তীতে ইসরাইলের নিজস্ব এআই-চালিত টার্গেটিং সিস্টেমের সাথে মিলিয়ে দেখা হত।

এ অংশীদারিত্ব ইসরাইল, ইউক্রেন ও যুক্তরাষ্ট্রসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিস্তৃত ব্যবহারের জন্য সামরিক বাহিনীর কাছে তাদের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা পণ্য বিক্রি করার জন্য প্রযুক্তি কোম্পানিগুলোর ক্রমবর্ধমান প্রবণতাকে প্রতিফলিত করে। মানবাধিকার সংস্থাগুলোর আশঙ্কা, এ ধরনের এআই প্রযুক্তি ভুল সিদ্ধান্ত গ্রহণের ঝুঁকি তৈরি করে এবং এতে নিরীহ মানুষের মৃত্যু ঘটছে।

মাইক্রোসফট জানিয়েছে, কর্মীদের উদ্বেগ ও সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন সামনে আসায় তারা একটি অভ্যন্তরীণ পর্যালোচনা শুরু করেছে এবং একটি বাইরের সংস্থাকে অতিরিক্ত তথ্য অনুসন্ধানের জন্য নিয়োগ দিয়েছে। তবে তারা ওই সংস্থার নাম বা তাদের প্রতিবেদন প্রকাশ করেনি।

মাইক্রোসফটের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, তারা ইসরাইলি সেনাবাহিনীকে সফ্টওয়্যার, পেশাদার পরিষেবা, অ্যাজিওর ক্লাউড স্টোরেজ ও এআই পরিষেবা প্রদান করেছে, যার মধ্যে রয়েছে ভাষা অনুবাদ। তারা ইসরাইলি সরকারের সাথে কাজ করেছে যাতে তারা তাদের জাতীয় সাইবারস্পেসকে বহিরাগত হুমকির বিরুদ্ধে রক্ষা করতে পারে। বিশেষ করে, হামাসের হাতে আটক আড়াই শতাধিক ব্যক্তিকে উদ্ধারের চেষ্টায় ‘বাণিজ্যিক চুক্তির সীমার বাইরে’ কিছু প্রযুক্তি ও ‘জরুরি সহায়তা’ দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে মাইক্রোসফট।

তবে প্রতিষ্ঠানটি এখন পর্যন্ত স্পষ্ট করেনি, তাদের প্রযুক্তি ইসরাইলি সেনাবাহিনী কিভাবে ব্যবহার করেছে এবং মাইক্রোসফট কিংবা তাদের নিযুক্ত বাইরের তদন্তকারী সংস্থা আদৌ ইসরাইলি বাহিনীর সাথে যোগাযোগ করেছে কিনা।

এমএইচ/


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ