রবিবার, ১৮ মে ২০২৫ ।। ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ ।। ২০ জিলকদ ১৪৪৬

শিরোনাম :
জমিয়তের সহ-সভাপতি মাওলানা আব্দুল কুদ্দুস কাসেমী অসুস্থ, দোয়া কামনা  সৌদি-ইসরায়েলের সম্পর্ক ঠেকাতে গাজায় ঝরল ৫৩ হাজার প্রাণ এবার খুলনা সিটি নির্বাচনের ফলাফল বাতিলের দাবিতে হাতপাখার প্রার্থীর মামলা ‘আত্মস্বীকৃত পতিতাদের অনতিবিলম্বে গ্রেফতার করুন’ বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস কুমিল্লা পশ্চিম জেলা কমিটি গঠন মানবিক করিডর ও সমুদ্র বন্দর সিদ্ধান্ত জাতীয় স্বার্থের পরিপন্থী: ইসলামী ঐক্যজোট  ‘আল্লামা সুলতান যওক নদভী ছিলেন ইলম আমলের এক অপূর্ব দৃষ্টান্ত’ তিনি জাতির মগজ হয়ে উঠতে পারেননি, হয়েছেন বিপজ্জনক বিষ্ঠা নারী কমিশন ‘ধর্ম বনাম নারী’কে মুখোমুখি দাঁড় করিয়েছে : মহিলা ফোরাম রাষ্ট্রীয় ও ধর্মীয় কর্তৃপক্ষকে সমস্যার গোড়ায় যাওয়ার অনুরোধ

শিশু আছিয়ার মৃত্যুতে গভীর শোক হেফাজতে ইসলামের

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

মাগুরায় যৌন নির্যাতনের শিকার শিশু আছিয়ার মৃত্যুতে গভীর শোক জানিয়েছেন হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের আমীর আল্লামা মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরী ও মহাসচিব মাওলানা সাজেদুর রহমান। আজ সংবাদমাধ্যমে এক বিবৃতিতে তিনি একইসাথে আছিয়ার খুনি ধর্ষকদের দৃষ্টান্তমূলক প্রকাশ্য বিচারও দাবি করেছেন। 

বিবৃতিতে তিনি বলেন, কয়েক দিন মৃত্যুর সাথে লড়াই করে পাশবিক যৌন নির্যাতনের শিকার শিশু আছিয়া আল্লাহর ডাকে সাড়া দিয়েছে। তার মৃত্যুতে আমরা গভীর শোক জানাচ্ছি এবং তার শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতিও আমরা সমবেদনা জানাচ্ছি। 

তারা আরো বলেন, আমরা অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে আছিয়ার খুনি ধর্ষকদের দৃষ্টান্তমূলক প্রকাশ্য বিচার দাবি করছি এবং প্রচলিত নারী ও শিশু নির্যাতন প্রতিরোধ আইন সংশোধন করে  বিচারপ্রক্রিয়া দ্রুত সম্পন্ন করার দাবী জানাচ্ছি।  যাতে এমন পাশবিক অপরাধ করার সাহস আর কেউ না করে। প্রকাশ্যে ধর্ষকদের শাস্তি দেয়া হলে এমন অনেক অপরাধ রোধ করা সম্ভব বলে আমরা মনে করি। ইসলাম এজন্যই এসব অপরাধের শাস্তি প্রকাশ্যে দেয়ার বিধান রেখেছে। 

বিবৃতিতে তারা বলেন, আট বছরের শিশুকন্যা আছিয়ার নৃশংস ধর্ষণের শিকার হওয়ার ঘটনা জাহেলি যুগের বর্বরতাকেও হার মানিয়েছে।

ইসলামে ধর্ষণকারীকে জনসম্মুখে শাস্তির বিধান রাখা হয়েছে। পবিত্র কুরআনে মহান আল্লাহ তায়ালা বলেছেন, ‘তাদের শাস্তি দিতে যেন তোমাদের মনে দয়ার উদ্রেক না হয় এবং মুসলমানদের একটি দল যেন তাদের শাস্তি প্রত্যক্ষ করে।’

(সুরা নুর, আয়াত : ২) রাসুল সা.-এর যুগে এক নারীকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করা হলে বিশ্বনবী সা.  ধর্ষককে হত্যার শাস্তি দেন। অর্থাৎ  ধর্ষণের শাস্তি মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
তারা বলেন, ইসলাম নারীর অধিকারের সুস্পষ্ট ঘোষণায় নারীর যথাযথ মর্যাদার স্বীকৃতি দিয়েছে এবং মানবতার নবী হযরত মুহাম্মদ সা.-ই সর্বপ্রথম নারী জাতির পূর্ণ মানবিক অধিকার প্রতিষ্ঠা করেছেন।  ইসলামের আগে জাহেলি আরব সমাজে নারীর মর্যাদাপূর্ণ কোনো অবস্থান ছিল না। নারীরা হলো আমাদের মায়ের জাতি। দেশের ওলামায়ে কেরাম নারী সমাজের সম্মান ও মর্যাদা রক্ষায় সবসময় সোচ্ছার রয়েছে। 

হাআমা/


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ